শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষ্যে আগামী সোম বা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে দেশের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোথাও তাপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিস বলছে, ঈদের সময় দু’দিন সারাদেশে বিক্ষপ্তভাবে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এতে ঈদের আনন্দে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ঈদের দিন, ঈদের আগের দিন ও ঈদের পরদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে- এটা চূড়ান্তভাবে রবিবার জানা যাবে। তবে আমরা ১০ দিনের যে পূর্বাভাস দিয়েছি, সে হিসেবে ঈদের আগে, পরে ও ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গা এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙামাটিসহ রাজশাহীতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে এসব এলাকায় গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ৪ মে পর্যন্ত সারাদেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। এই সময় পর্যন্ত দেশের বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। মূলত আজ রোববার থেকেই গত কয়েক দিনের চেয়ে দেশের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে। ঈদের দিন বৃষ্টি হলেও একযোগে হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিচ্ছিন্নভাবে সারাদেশের অঞ্চল-বিভাগে বৃষ্টি হবে। যার ফলে ঈদের আগে-পরে এবং ঈদের দিন দেশের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকবে। আলাদাভাবে কালবৈশাখী হবে না। এখন বৃষ্টি মানেই ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি।